চুলকানিকে মজার রোগ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু চুলকালে আসলেও কি মজার রোগ? না, চুলকানি উঠলে আস্তে আস্তে এটা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় শরীরের চামড়া ফুসকা পড়ে এমন কি রক্ত বের হয়। আজকে আমরা স্টাবিজ নামক চুলকানি রোগের কারণ সহ কিভাবে এই চুলকানি থেকে মুক্তি পাব এবং কোন ক্রিম বা ওষুধ লাগালে বা খেলে ভালো হবে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbiD843wm1W-3Bgf7tANILmHaDqFPQpCkxsSvrgL-Ly9sPUO8Oiy5Wx-mFbAw2A_Z1XvZ3-BZ5wmx9EYx68hlrIBv3AQTwjm9JjxYtlAb6ZJMritYoxBwVYCmsXX7oeDRf5UnODUG8Xh9oA7h_HLTzSN-BLxPrX2rSi_RChR9AegAUxN4JL2qtmVzl6Q/w640-h636/Screenshot_1.png)
স্কাবিজ নামক চুলকানি রোগটি মূলত শুষ্ক আবহাওয়াতে হয়ে থাকে। সেটা মূলত শীতকালে বেশি দেখা দেয়। এই চুলকানি রোগটি ছোঁয়াচে একটি রোগ । এটা খুব সহজে একে অন্যের স্পর্শে ছড়িয়ে যায়। এই চুলকানির জীবণুগুলো শরীরের চামড়ার উপরিভাগে অবস্থান করে কুটকুট করে কামড়ে থাকে ফলে চুলকানি প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। এই চুলকানি মূলত রাতে বেশি হয়ে থাকে কারণ যখন ঘুমোতে যায় তখন তারা খুব সতেজ হয়ে আক্রমণ করে যার জন্য চুলকানি পরিমাণ বেশি অনুভূত হয়।
কি কারণে চুলকানি হয়ে থাকে
চুলকানি রোগ বা সমস্যা হয়ে থাকে মূলত নোংরা পরিবেশ বা বস্তি এলাকা থেকে। কিন্তু এখন বর্তমানে চুলকানি জনিত রোগটি হয়ে থাকে যাদের ছেলে মেয়ে মাদ্রাসায় মেচ বা বোডিং এ থেকে লেখাপড়া করে মূলত সেইখান থেকে। একসাথে অনেক জন বসবাস করার জন্য ঠাসাঠাসি তবে একে অপরের সংঘর্ষে চুলকানি হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ উইন্ডোজ 11 টাস্কবারে আবহাওয়া উইজেট কীভাবে নিষ্ক্রিয় করবেন জানুন
চুলকানি মূলত কাপড়-চোপড় বিছানা থেকে বেশি ছড়ায়। এই সকল জায়গাগুলোর পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে যার কারণে এর চুলকানি রোগের উৎপত্তি হয়। এছাড়াও অনেকের শরীরে এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে চুলকানি রোগটি হয়ে থাকে।।
কোন সময় চুলকানি বেশি দেখা যায়
চুলকানি রোগটি শীতকালে বেশি দেখা যায়। কারণ শীতকালে শুষ্ক আবহওয়াতে জীবাণু শরীর এ আক্রমণ করে। অন্যান্য সময় চুলকানি দেখা গেল ও শীতকালে এর প্রকোপ বেশি হয়। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া তে খোস পাঁচড়া বা স্কেবিস নামক চুলকানি বেশি দেখা যায়। এটা এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ । এটা একে অপরের সংস্পর্শে এলে ছড়িয়ে পড়ে। এই জীবাণু ও চামড়ার উপরিভাগে থাকার কারণে খুব সহজেই একজন থেকে অন্য জনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ফলে অন্যজনের ও চুলকানি দেখা যায়।
চুলকানির লক্ষণ ও উপসর্গ কি কি
খোসপাচড়া বা স্কেবিস নামক রোগটি রোগটির উপসর্গ হচ্ছে এটা শরীরের নরম অংশে আক্রমণ করে। বিশেষভাবে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে , ছেলেদের যৌনাঙ্গে , এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ইসিজা ও নিপীলে বেশি আক্রমণ করে থাকে। এর চুলকানি দিনের চেয়ে রাতে বেশি হয়ে থাকে। চুলকানি উঠলে চুলকাতে চুলকাতে ফোসকা পড়ে, কেশানি বের হয় এবং এটা মাথাত মাত্রাতিরিক্ত চুলকালে রক্ত বের হয়ে থাকে। যতই চুলকাবে ততই চুলকাতে মন চায়।
চুলকানি দূর করার জন্য ক্রিম ও ঔষধ
চুলকানি দূর করার জন্য কিছু ক্রিম ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। এ চুলকানি দূর করার জন্য Permethin, Cromatition, বেঞ্জাল -বেঞ্জচয়েল ব্যবহার করতে পারেন। Permethin ক্রিম চুলকানি রোগের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে থাকে এবং এর ফলাফল খুবই ভালো। যা চুলকানি ভালো করতে ভূমিকা পালন করে।
কিভাবে ক্রিম ও ঔষধ লাগাবো
স্ক্যাবিজ নামক রোগ নিরাময় করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ মলম ব্যবহার করে এ রোগটি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। Permethin নামক মলমটি নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। প্রথমত সাবান দিয়ে পুরো শরীর ভালো করে ডলে পরিষ্কার করতে হবে। দরকার হলে খোসা দিয়ে ভালো করে ডলে ডলে শরীরের জায়গা গুলো পরিষ্কার করতে হবে।
গোসলের পর শরীর শুকিয়ে গলা থেকে পায়ে পর্যন্ত পুরো শরীরের সম্পূর্ণ জায়গায় মলম লাগাতে হবে। যাতে কোন জায়গায় বাকি না থাকে। মলমটা শরীরে ১৬ থেকে ২৪ ঘন্টার মতো দিয়ে রাখতে হবে। যদি কোন ভাবে হাত পা ধোয়া লাগে তো ধোয়ার পরে পুনরায় আবার মলম লাগাতে হবে। মলম লাগিয়ে দেখতে হবে চুলকানি কমে কিনা যদি চুলকানি না কমে থাকে পুনরায় পাঁচটায় সাত দিন পর আবার এই নিয়মে লাগাতে হবে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ
দারাজে অর্ডারকৃত আপনার পণ্যটি যখন আপনার কাছে নিয়ে আসবে তখন দেখে শুনে নিবেন। যদি পণ্যটি আপনার অর্ডার করা অনুযায়ী না হয়ে থাকে তাহলে পণ্যটি ফেরত দিতে পারবেন। পণ্য ফেরত দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ৭ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নম্বর ও ইমেইল জেনে নিন
দারাজে আপনি আপনার একাউন্টে গিয়ে View all অপশনে ক্লিক করে যে পণ্যটি অর্ডার করেছেন তার ওপরে ক্লিক করলে Return the product /রিটার্ন দা প্রোডাক্ট অপশন আসবে দিয়ে ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনি আপনার যে পণ্যটি দিয়েছেন তার ছবি এবং কারণ লিখে সাবমিট দিয়ে দিবেন। তাহলে আপনি আপনার পণ্যটি ফেরত দিতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
স্বাবিজ নামক রোগটি যদি হয়ে থাকে তাহলে উক্ত রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনা অনুযায়ী কাজগুলো করতে হবে। তাহলে আমরা এই রোগটি থেকে পরিত্র্যাণ পাব। নিজেদেরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বেশি রাখতে হবে তাহলে রোগটি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব । আর যদি হয়ে থাকে উক্ত পদ্ধতি নিয়ম মেনে রোগ নিরাময় করতে সহযোগিতা করবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url